পুন‍্য লাভের আশায় গঙ্গা স্নান করতে এসে তলিয়ে গেল যুবক পূর্বস্থলীতে

10th August 2020 6:56 pm বর্ধমান
পুন‍্য লাভের আশায় গঙ্গা স্নান করতে এসে তলিয়ে গেল যুবক পূর্বস্থলীতে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) :  পুণ্য লাভের আশায় সাতসকালেই বন্ধুদের সঙ্গে বাবা বুড়োরাজের মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা।আর সেই মন্দিরে জল ঢালার জন্য ঘট হাতে গঙ্গার ঘাটে নামতেই তলিয়ে গেল এক যুবক।আর এই ঘটনাকে ঘিরে সোমবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর পাটুলি এলাকায়।নিখোঁজ ওই যুবকের নাম বাপ্পা চক্রবর্তী।তার বাড়ি কাটোয়া শহরের কলেজ পাড়া এলাকায়।ঘটনার পরেই স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করেও ওই যুবকের খোঁজ না পাওয়ায় পরে ডুবুরি সহ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল গঙ্গায় খোঁজ চালায়। যদিও এইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই যুবকের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
               স্থানীয় ও ওই যুবকের পরিবারসূত্রে জানা যায় যে,শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে  বাবা বুড়োরাজের মন্দিরে জল ঢালার উদ্দেশ্যে বাপ্পা চক্রবর্তী ও তার আরো পাঁচ বন্ধু তিনটি মোটরসাইকেলে চেপে পূর্বস্থলীর জামালপুরে উদ্দেশ্যে কাটোয়ার বাড়ি থেকে রওনা দেয়।এরপরেই সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পূর্বস্থলীর পাটুলির নারায়ণপুর ঘাটে ঘটে জল ভরতে গিয়ে তলিয়ে যায় বাপ্পা চক্রবর্তী নামে বছর উনিশের ওই যুবক। চোখের সামনেই ওই বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে তাকে উদ্ধার করার জন্য তারা প্রাণপন চেষ্টা চালায় গঙ্গায় স্নানরত অন্যান্য বন্ধুরা।বর্ষার গঙ্গায় জল ও স্রোত বেশি থাকার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।তার পরিবারসূত্রে জানা যায় যে,বাপ্পা সাঁতারও জানতো না।এইবছর সে কাটোয়ার কাশীরাম দাস ইনষ্টিষ্টিউশন থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশও করে বলে জানায় তার বাবা বামাপদ চক্রবর্তী ও মা মায়া চক্রবর্তী।তারা আরো জানান যে,এইদিন পুজো দেবে বলে তাদের একমাত্র পুত্র বাপ্পা সকালে বাড়ি থেকে স্নান করেই বের হয়।ঘটনাস্থলে থাকা ওই যুবকের এক বন্ধু তিরুপতি চ্যাটার্জী জানায়,‘বাপ্পাকে আমরা ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন বারংবার নিষেধ করা সত্বেও ও একপ্রকার অবাধ্য হয়েই অনেকটা জলে নেমে যায়।আর তখনই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’স্থানীয়দের বক্তব্য দুর্ঘটনার সময় গঙ্গার ঘাটে স্নানরত দু-তিনজন মহিলা তা দেখতে পেয়েই তাদের সঙ্গে থাকা কাপড়ও ছুড়ে দেন তাকে উদ্ধার করার জন্য।কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি।শেষপর্যন্ত ওই যুবক নিখোঁজ হয়ে যায়।স্থানীয়রা দীর্ঘক্ষন খোঁজাখুঁজি করে।খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।এরপরেই বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনী ডুবুরিরা ওই যুবকের খোঁজে গঙ্গায় নামলেও এইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পায়নি।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।